গণমঞ্চ ডেস্ক নিউজ
রাজশাহীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী এক শিক্ষককে ছুরি মেরেছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে স্কুলের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মারুফ কারখী (৩৪) রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গলা ও হাতে জখম হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছাত্রীটি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। ‘উশৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে রাজশাহীর অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আছে।
ওই ছাত্রীর আগের স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, টিসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল। শুধু শিক্ষক মারুফ কারখীর প্রতি নয়, প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মকর্তার প্রতিই তার ক্ষোভ ছিল। যে কারও ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল তার। দুর্ভাগ্যক্রমে দুপুরে মারুফ কারখী রাস্তায় তার সামনে পড়েন।
ওই কর্মকর্তা জানান, দুপুরে স্কুল ছুটি হলে মারুফ কারখী স্কুটি নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় রাস্তায় অপেক্ষমাণ ছাত্রী ‘হেল্প, হেল্প’ বলে ডাকতে থাকে। বিপদে পড়েছে ভেবে শিক্ষক স্কুটি থেকে নেমে কাছে যেতেই হঠাৎ সে তার গলা লক্ষ্য করে ছুরি চালায়। হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শিক্ষক হাত ও গলায় আঘাত পান। স্থানীয়রা ছাত্রীকে আটক করে স্কুলে খবর দেন। আহত শিক্ষককে দ্রুত রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে তিনটি সেলাই দিতে হয়। ঘটনার পর অভিভাবককে ডেকে ছাত্রীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রীটির আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তার পিএ।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিজেরাই সমাধান করবেন। এ নিয়ে থানায়ও কোনো অভিযোগ করা হয়নি।