গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
সিলেটের সাদা পাথরে বিগত কয়েক মাসে হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত সাদা পাথরে অনুসন্ধানে গিয়ে এসব তথ্য জানান।
দুদকের নয় সদস্যের একটি দল এলাকাটি পরিদর্শনে যান। পরে সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণের কাছ থেকে নানান তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তারা। লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত সেটি অনুসন্ধানে তাদের এ পরিদর্শন বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, “এখানে বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা এমনকি হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়েছে। সৌন্দর্য দেখতে আসা স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এখান থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে পাথর আত্মসাৎ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা পর্যটনের কথা মাথায় না রেখে পাথর নিয়ে গেছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। সাদা পাথরে আসার আগে রাস্তার দুই পাশে অনেকগুলো পাথর ক্রাশার মেশিন দেখতে পেয়েছি। সেখানে বড় বড় পাথর ভেঙে টুকরো করা হচ্ছে, যাতে এগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা যায়।”
সহকারী পরিচালক বলেন, “এরসঙ্গে এখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আছেন, স্থানীয় লোকজন আছেন। আমরা জানতে পেরেছি, বড় ব্যবসায়ীও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন।”
তিনি বলেন, “এটা নিয়ে আরও কাজ করে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা হবে। আজকে আমরা এর সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারেন, তাদের খোঁজার জন্য এসেছি। পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে কি-না, সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে, সাদা পাথর লুটপাটের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিলেটে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। মানববন্ধনে শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা সোনাখ্যাত দেশের শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে অবাধে পাথর লুটপাট চলছে। যেন দেখার কেউ নেই। দিনেদুপুরে অবাধে লুটপাটের কারণে বিলীন হবার উপক্রম হয়েছে ওই পর্যটন স্পটটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি করা হলেও বাস্তবে লুটপাট কোনোভাবেই বন্ধ হয়নি।