গণমঞ্চ ডেস্ক নিউজ
বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভুল যাওয়া, কোনও কাজে মন দিতে না পারা, মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া খুব সাধারণ বিষয়। বর্তমানে অতিরিক্ত কাজের চাপ, উদ্বেগের প্রভাবও পড়ে মস্তিষ্কে। সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন চিকিৎসক এবং যাপন সহায়ক অক্ষত চড্ঢা। তিনি বলছেন, ‘‘মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা নিয়ে বেশি করে ভাবার সময় হয়েছে।’’
তাঁর কথায়, সহজ দুই কৌশলেই মস্তিষ্ক সতেজ থাকতে পারে। মস্তিষ্কে ধোঁয়াশা কাটানো, স্মৃতিনাশ-সহ সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকা অনেক সমস্যাই ঠেকানো যেতে পারে এতে।
১। যে হাত কম সক্রিয় সেটি কাজে লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন যাপন সহায়ক অক্ষত। কেউ যদি ডান হাতে সব কাজ করেন, তাঁকে বাঁ হাতটিও নানা কাজে লাগাতে হবে। যেমন দাঁত মাজা, দরজা বন্ধ করা, জল ঢালা, চামচ নাড়া এ ভাবে অভ্যাস করা দরকার। অদ্ভুত শোনালেও, এতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, সচল থাকবে।
২০০৪ সালে ‘রিসার্চগেট’ জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বার বার কম সক্রিয় হাতের ব্যবহারে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ে। আত্মনিয়ন্ত্রণ, সৃজনশীল ভাবনার প্রকাশেও এই পন্থা সহায়ক।
২। মস্তিষ্ক সচল রাখা, মনঃসংযোগ বৃদ্ধির আরও একটি উপায় হল পাজ়ল। সুডোকু, শব্দের খেলা, সলিটেয়ারের মতো খেলায় মাথা ঘামানোর দরকার হয়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই ধরনের খেলায় মন দিলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।‘পাবমেড’-এ ২০১৪ সালে প্রকাশিত গবেষণালব্ধ তথ্য বলছে, শব্দের খেলা বা ক্রসওয়ার্ড পাজ়ল নিয়মিত খেললে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাওয়ার সমস্যা কিছু দিন হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়।