গনমঞ্চ নিউজ ডেস্ক
জীবনের প্রতিটি ধাপে স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরা আর সংগ্রামের মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের এক অনন্য উদাহরণ রায়হান মিয়া। নরসিংদীর মেঘনাপারের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞারই ফসল।
সরকারি চাকরি, সংসার ও সামাজিক দায়িত্বের মাঝেও শিক্ষার আলো কখনো নিভতে দেননি তিনি। আজ তিনি যখন হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে পাবলিক পলিসি নিয়ে পড়তে যাচ্ছেন, তখন এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং সমগ্র দেশের তরুণদের জন্য এক প্রেরণাদায়ক গল্প।
রায়হান মিয়ার এই যাত্রা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিকূলতা জীবনের গতিপথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেও স্বপ্নকে লালন করতে হয় অটুট ধৈর্য্যে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন হার্ভার্ডের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। বাবার মৃত্যু, আর্থিক সংকট ও চাকরির ব্যস্ততায় স্বপ্নপূরণের পথ কঠিন হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। বিসিএসে সাফল্য, সরকারি চাকরি এবং কেরানীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেও তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে গেছেন। এটি তাঁর সময় ব্যবস্থাপনা, লক্ষ্যের প্রতি একাগ্রতা ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতারই প্রতিফলন।

কেরানীগঞ্জে চাকুরীকালীন সময়ে মানুষদের হৃদয় জয় করেছেন রায়হান মিয়া তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতায়। সরকারি দপ্তরে তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন, যা একজন সরকারি কর্মকর্তার সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আজ তিনি যখন নতুন এক জ্ঞানের যাত্রায় হার্ভার্ডে পা রেখেছেন, তাঁর এই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
রায়হান মিয়ার এই অভিযাত্রায় আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। তাঁর এই অর্জন যেন দেশের লক্ষ্য তরুণ-তরুণীর জন্য পথ দেখায়, স্বপ্ন দেখার সাহস জোগায়। হার্ভার্ডের শিক্ষা তাঁকে আরও সমৃদ্ধ করুক, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক তাঁর পথ। আমরা আশা করি, বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে তিনি দেশের সেবায় নিজেকে আবারও নিয়োজিত করবেন এবং তাঁর অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।
শুভ হোক আপনার পথচলা, প্রিয়, রায়হান মিয়া।
শুভেচ্ছান্তে- মোঃ কাওসার আহম্মেদ