স্থানীয়দের হামলায় চবির ৩০ শিক্ষার্থী আহত  

গণমঞ্চ ডেস্ক নিউজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এতে প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফসহ অন্তত ৩০ শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একাধিক শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালালে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট-সংলগ্ন লন্ডনি বিল্ডিং এলাকার কাছে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তবে স্থানীয় লোকজন কথা শুনতে চাননি। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসনের সবাই ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সময় স্থানীয় লোকজন লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালান।

হামলায় প্রো-ভিসি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী। এ ছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফও। আহতদের মধ্যে অনেকে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এর আগে শুক্রবার সংঘর্ষের ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা। একপর্যায়ে কয়েকজনের ওপর হামলার খবর পান তারা। এ সময় ক্যাম্পাসের পাশে রাতের সংঘর্ষের স্থানে গেলে স্থানীয় লোকজনও লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। 

এক নারী শিক্ষার্থীকে বাসার দারোয়ান কর্তৃক মারধরকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে ক্লাস চলবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচি অনুযায়ী চলবে।

শনিবার রাতে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে (চমেক) পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই শিক্ষকও আহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *