“শরিয়া আইন নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন, একুশের রাতে চরমোনাই পীরের চমকপ্রদ জবাব!”

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক

একুশে টিভিতে পীর সাহেব চরমোনাই (হাফি) এর ৩৭ মিনিটের একটি সাক্ষাতকার দেখলাম৷ যিনি সাক্ষাতকার নিয়েছেন তিনি একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান জাকীর ভাই৷ পীর সাহেবকে বেশ ক্রিটিক্যাল কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে৷ এমন হুবহু প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বহু পরিচিতমুখ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হযরতগণ বিব্রত হয়েছেন ৷ সুন্দরভাবে সামলে নিতে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছেন ৷ কিংবা তাঁদের উত্তর নিয়ে পরবর্তিতে তীব্র সমালোচনা হলেও আমাদেরকে চুপ থাকতে হয়েছে ৷

কিন্তু পীর সাহেব হুজুর দা:বা: এমন হিকমাহ অবলম্বন করে জবাব দিতে সক্ষম হবেন এটা সত্যিই মুগ্ধকর ছিলো ৷ কারণ তিনি সচারাচর এ-সমস্ত টকশো কিংবা সাক্ষাতকারে খুব বেশি আগ্রহী কিংবা অভ্যস্ত নন৷ বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে আমি একটি প্রশ্নের বিশ্লেষণ করি:

হাসান জাকীর সাহেব প্রশ্ন করলেন: “আপনারা ক্ষমতায় গেলে কি দেশে শরিয়া আইন কায়েম করবেন”?

প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া জটিল একারণে যে, যদি উত্তরে বলা হয় “হ্যা আমরা ক্ষমতায় গেলে শরিয়া আইন কায়েম করবো” কথাটি সত্য হলেও দেশের বহু মানুষ এটা শুনতে নারাজ হবেন, এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে এই বক্তব্য কাট করে ইসলামী দলগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করার চেষ্টা করতো ৷ এবং বৃহৎ দলগুলোর জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা অস্থিরতা তৈরী করা খুব সহজ হয়ে যেতো ৷ আর যদি তিনি উত্তরে বলতেন যে, “না আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করবো না” তাহলে বাম-রাম আর নাস্তিক-শাহবাগী লাগবে না, ইসলামী দলগুলোর সমর্থকেরাই পীর সাহেবকে তুলোধুনো করে ছাড়তেন৷

কিন্তু তিনি হিকমত অবলম্বন করে চমৎকার জবাব দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন: (সারসংক্ষেপ) “আসলে শরিয়া আইন মানে খারাপ না৷ আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা মানুষকে সুন্দরভাবে শরিয়া আইনের উপকারিতা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি ৷ বহু বৃটিশরা পৃথিবীর সফল ও সৎ মানুষদের জীবনী লেখেছেন ৷ মাইকেল এইচ হার্ট পৃথিবীর ১০০ শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে ১ নম্বরে নবীজি (সা:) এর নাম এনেছেন ৷ এটা তো আমাদের বক্তব্য নয় বরং তাদেরই ঐতিহাসিক এবং লিখিত বক্তব্য ৷ নবীজি (সা:) এর রেখে যাওয়া জীবন ব্যবস্থাটার নামই হলো শরিয়া আইন, এটা অনৈতিকতা, দূর্নীতি, অপরাধ ও অন্যায়কে সমর্থন করে না ৷ পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও ইসলাম দেয়৷ আপনারা দেখেছেন যে, আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সমস্ত ধর্মের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন ৷ একদম সংক্ষেপে বললে “আমরা কল্যাণকর একটি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখি”

কতোটা সহজ ও সুনিপুণভাবে তিনি এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ৷ পীর সাহেবে চরমোনাই হযরতের জন্য শুধুই ভালোবাসা রইলো। আরিফ জব্বার এর লেখা আক্তারুজ্জামান হাফেজ্জীর ফেসবুক পোষ্ট থেকে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *