গণমঞ্চ ডেস্ক-
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় চুরির অভিযোগে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী আজ (১১ আগস্ট) তারাগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক।
মৃত্যের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা গতকাল সন্ধ্যায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। স্থানীয় প্রশাসনের বিচার নিশ্চয়তার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট বোতলা এলাকায় ভ্যান চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে নিহত হন রূপলাল দাস (৪০) এবং তার ভাগ্নির স্বামী প্রদীপ দাস (৩৫)। রূপলালের বাড়ি ঘনীরামপুরে।
পুলিশ পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, রূপলাল ও প্রদীপ শনিবার রাতে রূপলালের মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে ঘনীরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন একটি ভ্যানে করে।
তারাগঞ্জ-কাজিরহাট সড়কের বোতলা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাদের ভ্যানচোর সন্দেহে আটক করেন।
এদিকে কাকতালীয়ভাবে স্থানীয় দুই ভ্যানচালক—পাশারীপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এতে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়, কারণ স্থানীয়দের ধারণা ছিল ভ্যানটি চুরি হয়েছে এবং মালিককে অজ্ঞান করার জন্য বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছিল।
পরে উত্তেজিত জনতা রূপলাল ও প্রদীপকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে।
তাদের প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, যেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রদীপকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রোববার ভোরে তিনিও মারা যান।