গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
মানিকগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসা থেকে মা শিখা আক্তার-সহ (৩০) তার ২ শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকা থেকে এই তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান-উল্লাহ।
নিহতরা হলেন, প্রবাসী শাহিন আহামেদের স্ত্রী শিখা আক্তার ও তাদের মেয়ে সাইফা আক্তার (২) এবং শিখা আক্তারের ছেলে আরাফাত ইসলাম আলভি (৮)। সে ২য় শ্রেনির ছাত্র ছিলো। প্রবাসী শাহিনের ২য় স্ত্রী ছিলো শিখা। তার প্রথম ঘরের ছেলে ছিলো আলভি। শাহিন আহামেদ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। শাহিন প্রায় দেড় মাস আগে বান্দুটিয়া এলাকার রাহাত সালমানের বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের রেখে বিদেশে যান।
এ বিষয়ে শাহিনের মামা আমান আনসারী বলেন, শাহিনের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পরে ২য় বিয়ে করেন শিখা আক্তারকে। তাদের সংসার জিবন প্রায় ৫ বছর। এই সংসার জিবনে তাদের কন্যা সন্তান সাইফা আক্তার। দেশে থাকা অবস্থায় শাহিন ইজিবাইক চালাত। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে তার স্ত্রী সন্তানকে ভারা বাসায় রেখে যান। এই বাসায় শিখার আগের ঘরের ছেলে আলভিও থাকত।
বাসার পাশের ইউনিটের ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন জানান, মাস দেড়েক হয় ফ্লাটটি তারা ভাড়া নিয়েছেন। একবারই তার স্বামীকে দেখেছিলাম। আজ কারেন্ট বিলের টাকা চাওয়ার জন্য সকালে তাদের দরজায় নক করি। তাতে কোন সারা শব্দ পাওয়া যায় না। পরে কয়েক দফায় দরজায় নক করলেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি এসেও সারা শব্দ না পেয়ে ৯৯৯ ফোন করে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান-উল্লাহ বলেন, ফ্লাটের ভিতরে ঢুকার জন্য কোন উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকি। ভিতরে ঢুকে রুমের মধ্য দেখতে পায় শিশু দুইজনের নিথর দেহ ফ্লোরে পরে রয়েছে। আর তাদের মার মরদেহ খাটের উপরে পরে রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বন্ধ ফ্লাট থেকে মাসহ তার দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে বিষের বতল পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে মা তার দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাওয়য়ে হত্যা করে নিজেও বিষ খেয়ে মারা যান। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মৃত দেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন