গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, নাসির উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভি’র দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন সাথী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার উস্কানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ভিকটিম আসাদুল হক বাবু (২৪) মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়।
মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় যে, মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় ও ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকাররে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দলমতকে প্রত্যাখান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মকমূলক কার্যক্রম সংঘঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নাসির উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানাধীন এলাকা থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোঁড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ওই ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় নাসির উদ্দিনকে ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।