
গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধারের এক দিন পরও নারী-শিশুসহ অজ্ঞাতনামা চার লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। লাশগুলো বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা আছে। গতকাল রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, “বুড়িগঙ্গা নদীর পৃথক স্থান থেকে এক দিনে নারী-শিশুসহ অজ্ঞাতনামা চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলা দুটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে।”
নৌ পুলিশের বরিশুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, পিবিআই ও সিআইডির ফরেনসিক দল আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গ সূত্র জানায়, বিকেলে চারটি লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বুড়িগঙ্গার মীরেরবাগ কোল্ডস্টোরেজ এলাকার তীর থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নারী ও এক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা, নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর ও শিশুটির বয়স ৩ থেকে ৪ বছর হবে। ওই নারীর পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ।
অন্যদিকে, একই দিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর ঘাট এলাকায় এক নারী ও এক পুরুষের লাশ ভেসে ওঠে। পরে খবর পেয়ে বরিশুর নৌ পুলিশ সদস্যরা লাশ দুটি উদ্ধার করেন। পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ও নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। পুরুষের পরনে ছিল লাল রঙের চেক শার্ট ও ট্রাউজার। আর নারীর পরনে ছিল লাল রঙের সালোয়ার ও ছাই রঙের গেঞ্জি।