বগুড়ার আদমদীঘিতে ক্লাস শুরুর আগেই মেঝ ধসে পুকুরে পড়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা আর অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানিয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও সজল হোসেন বলেন, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন শ্যামনাথ। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। তিনি স্কুলের শিক্ষক বা স্থানীয়দের সাথে কোনো পরামর্শ না করেই একক সিদ্ধান্তে চলেন। বরাদ্দের টাকা স্কুলের কি কাজে ব্যবহার করেন সেটিও কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করেন না। তার উদাসীনতার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাঠামোর অবস্থাও বেহাল। আর এ কারণেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা, জীসান ও অলসসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে মেঝ ধসে পুকুরে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তাদের দাবি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর এই বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝ সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই দফায় স্কুলের বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৫০০ টাকার মতো। সেটি নিয়ে কারো সাথে আলোচনা না করেই ব্যয় করার জন্য স্থানিয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়েই বিদ্যালয়ে ছুঁটে এসে ওই ক্লাস রুম বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এরপর স্থানীয়দের সাথে কথা বলি। তাদের অভিযোগগুলো নোট করি। বিষয়গুলো ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *