গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
ইতালির উদিনের ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে উয়েফার দুই শীর্ষ প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীদের ম্যাচে মাঠে ফুটবলারদের সঙ্গে প্রবেশ করা শিশুদের (ম্যাসকট) মাধ্যমে উঠে এল মানবিক বার্তা। তারা হাতে ধরে রাখে একটি ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল— ‘শিশু হত্যা বন্ধ করো, বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করো।’
এই বার্তার ছবি পরে নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করে উয়েফা জানায়, ‘বার্তাটি যথেষ্ট জোরালো ও স্পষ্ট। এটি একটি ব্যানার নয়, একটি ডাক।’
এই বার্তায় উয়েফা শিশু হত্যা ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদ জানালেও, দীর্ঘ সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় শিশু ও নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে সংস্থাটির নীরবতা নিয়ে চলছে সমালোচনা।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ খ্যাত ফুটবলার সুলেইমান আল ওবেইদ। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উয়েফার দেওয়া একটি পোস্ট নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়, “সুলেইমান আল ওবেইদকে বিদায়… তিনি ছিলেন এক প্রতিভা, যিনি অন্ধকার সময়েও শিশুদের জন্য ছিলেন আশার প্রতীক।”
তবে পোস্টে তার মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না করায় সমালোচনার মুখে পড়ে সংস্থাটি। লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ প্রশ্ন তোলেন, ‘উয়েফা, আপনারা কি বলতে পারবেন তিনি কীভাবে মারা গেছেন, কোথায় এবং কীভাবে?’
ফিলিস্তিনি ফুটবলের প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদিও উয়েফার নিরব ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আলজাজিরায়। তার মন্তব্য, ‘আল-ওবেইদ ছিলেন না প্রথম নিহত ফিলিস্তিনি অ্যাথলেট। চলমান সংঘাতে ৪০০’র বেশি ক্রীড়াবিদ মারা গেছেন। উয়েফা বরাবরই নিরব থেকেছে।’
এদিকে উয়েফা জানায়, গাজায় শিশুদের সহায়তায় একটি মানবিক প্রকল্প তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। তবে ফলো-আপ কোনো পদক্ষেপ বা ব্যাখ্যা এখনও আসেনি।