গণমঞ্চ ডেস্ক নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে পবিত্র কোরআন প্রকাশ্যে পোড়ালেন রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং মার্কিন রাজনীতিতেও বিতর্ক সৃষ্টি করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্লেম থ্রোয়ার ব্যবহার করে কোরআন পুড়িয়ে নিজেই সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন ২৬ বছর বয়সী এই নারী রাজনীতিক। ভিডিওতে তিনি ইসলামকে “সন্ত্রাসবাদী ধর্ম” আখ্যা দিয়ে টেক্সাস থেকে ইসলাম মুছে ফেলার হুমকি দেন। এছাড়া মুসলিমদের ৫৭টি মুসলিম দেশের যেকোনো একটিতে চলে যেতে বলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, “আমেরিকা একটি খ্রিস্টান দেশ” এবং ইসলাম শেষ না হলে টেক্সাসের নারীরা ধর্ষণের শিকার হবে, ছেলেদের শিরচ্ছেদ করা হবে। ভিডিওতে ইসরাইলের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেন গোমেজ।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো থেকে তাকে ব্যান করা হয়েছে, তবে এখনো ‘এক্স’-এ (টুইটার) তার অ্যাকাউন্ট চালু রয়েছে। এ নিয়ে ইলন মাস্ক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখা আলী আলমারি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “যদি সত্যি তিনি খ্রিস্টানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হতেন, তবে নিপীড়নের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়াতেন; জায়নিস্টদের পাশে নয়।”
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল মন্তব্য করেছে, কলম্বিয়ায় জন্ম নেয়া গোমেজ মূলত রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মুসলিম ও অভিবাসীবিরোধী ঘৃণাত্মক প্রচারণা চালাচ্ছেন।