নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় জেন-জি। আন্দোলনকারীরা এমন একজনকে চাইছেন, যার দুর্নীতিমুক্ত ভাবমূর্তি আছে, যিনি বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত নন এবং যার অভিজ্ঞতা আছে। তাদের মতে, সুশীলা কার্কি এই দিক থেকে উপযুক্ত প্রার্থী।
নেপালে এর আগে কোনো নারী দেশের প্রধানমন্ত্রী হননি। যদি সুশীলা অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তিনিই হবেন নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
৭৩ বছর সুশীলার স্বামী নেপালের যুব কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তবে সুশীলা দল বা রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন। নেপালের ইতিহাসে একমাত্র নারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালে ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সুশীলা। ১৯৭৯ সালে তিনি বিরাটনগরে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেইসঙ্গে কাজ করতে থাকেন সহকারি শিক্ষক হিসেবেও। ২০০৯ সালে তাকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডহক বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে নেপালের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় এক মন্ত্রীর কারাদণ্ডসহ একাধিক ঐতিহাসিক রায়ের জন্য দেশটিতে ব্যাপক পরিচিত তিনি।
নেপালের প্রবীণ আইন বিশেষজ্ঞ কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের জন্য জনপ্রিয়।