গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে জামায়াতে ইসলামীর যুব শাখার এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের নতুন মহাল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমজাদ হোসেন (২৫) জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের চৌফলদণ্ডী নতুন মহাল ইউনিটের সেক্রেটারি। তিনি ওই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।
ঘাতক ছাত্রলীগ নেতার নাম রাফি। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চৌফলদণ্ডী ৩নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এবং একই এলাকার ছৈয়দ নূরের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে রাফি ও তার সহযোগীরা আমজাদের ওপর হামলা চালান। নতুন মহাল বাজারে প্রকাশ্যে রাফি ও দুই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমজাদকে আঘাত করেন। এতে তার পেটে দুটি ও পিঠে একটি গুরুতর ক্ষত হয়।
স্থানীয়রা আমজাদকে উদ্ধার করে ঈদগাঁও হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ভাই ও কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমজাদ হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগে সক্রিয় হন। তার বিয়ের আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। আমজাদকে ছাত্রলীগের চিহ্নিত অস্ত্রধারীরা পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে নির্মমভাবে খুন করেছে। রাফি ও তার ভাগ্নে মোফাচ্ছেলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আজিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রাফি ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জমি দখল ও মামলা-মোকদ্দমা চালিয়ে আসছিল। তাররই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এদিকে নিহত আমজাদের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন ছাত্রদল নেতা হওয়ায় ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গভীর রাতে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রদল, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই বিক্ষোভে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেন। সেখান থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডার রাফির নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় এখনও মামলার কোনো এজাহার জমা পড়েনি। তবে ঘটনায় জড়িত এহসান নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।