নির্বাচনে ৩০টি আসন পেতে এনসিপির দর-কষাকষি

দেশ এখন নির্বাচনমুখী। রাজনৈতিক দলগুলো যার যার মতো ভোটের মাঠ দাপিয়ে বোড়চ্ছে। তারা ধরনা দিচ্ছে ভোটারদের কাছে। এরই মধ্যে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে দুই-একটি দল।

তবে কার্যত শেষ পর্যন্ত তারাও ভোটের মাঠেই থাকছে। বড় দল বিএনপিকে চাপে রাখতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ দুই-একটি দল ভোটে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, এটিও তাদের নির্বাচনী কৌশল। পেছনে বড় দলের সঙ্গে আসন সমঝোতাই মূল লক্ষ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মূলত প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সময় যত এগোচ্ছে, সামনের ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য রেখেই জোট গঠন প্রক্রিয়ায় তোড়জোড় বাড়ছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দল, সমমনা জোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ আরো কয়েকটি দলের বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। পাশাপাশি এই জোটে ভেড়াতে গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, এনসিপি, গণ-অধিকার পরিষদসহ বেশ কিছু দলের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড নিয়মিত যোগাযোগ ও বৈঠক করছে।তবে বিএনপি কোনোক্রমেই আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাবে না।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলামের মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন অংশ নিয়ে জোট বাঁধার বিষয়ে অনেকটাই ইতিবাচক। এর বাইরে এনসিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, গণ-অধিকার পরিষদসহ আরো কয়েকটি দল পৃথক জোট গঠনের পথে এগোচ্ছে বলে নির্ভরশীল সূত্র গণমঞ্চকে নিশ্চিত করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই জোট বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে আলোচনা আছে।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *