দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ: আদালতে ব্যারিস্টার সুমন 

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ’ বলে আদালত চত্বরে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারে থেকে ব্যারিস্টার সুমনসহ ৭ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী মধ্যে দিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। এসময় তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের মামলায় গত ২৮ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ধার্য করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালত এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। 

অপর আসামিরা হলেন—সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক এবং যাত্রাবাড়ী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এদিকে, শুনানি চলাকালীন অবস্থায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জন্য স্যান্ডুইচ ও ড্রাই ফুড আনেন তার আইনজীবী মহসিন রেজা। তাকে সেই খাবার দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান এই আইনজীবী। তবে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আসামিকে আদালত খাবার দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করেন। 

এ বিষয়ে আমির হোসেন আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা বলেন, ‘আসামিকে এক ঘণ্টা পর পর খাবার খেতে হয়। এজন্য তার পছন্দের খাবার স্যান্ডুইচ ও ড্রাই ফুড আদালতে আনা হয়। কিন্তু আদালত তাকে এই খাবার দেওয়ার অনুমতি দেননি। আসামি একজন বয়স্ক ব্যক্তি, নানান অসুখে জর্জরিত। এজন্য তাকে প্রতিনিয়ত সময় করে খাবার খেতে হয়।’

শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে আদালতে থেকে আসামিদের কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশে। ভালো থাকুক বাংলাদেশে।’

বার বার একই কথা বলতে থাকেন তিনি। তবে অন্যান্য আসামিরা এসময় মাথা নীচু করে চুপচাপ ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিয়াজ হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন রিয়াজ। ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *