গণমঞ্চ ডেস্ক
যশোরের শার্শায় প্রতিবেশী ভাবিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। নিজের সম্মান রক্ষার্থে ভাবি ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন বলে জানা যায়। গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১টার সময় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অবশেষে ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ দিন পর মফিজুলকে সোমবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মফিজুলকে গ্রেপ্তার করে শার্শা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত ১টার দিকে বাড়ির পাশে নির্জন জায়গায় ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তার দেবর মফিজুল ইসলাম। এ সময় প্রতিরোধ করতে গিয়েই সফুরা তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মফিজুলের পুরুষাঙ্গে আঘাত করেন। আহত মফিজুল পরে পালিয়ে চন্দনপুরের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে যান এবং সেখানে আট সেলাই দিতে হয় বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মফিজুল ইসলাম ও ভাবির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তবে এসবের পরও আবার এমন ঘটনা ঘটায় গ্রামবাসী বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। ঘটনার পর ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহাদত আলী বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে সময় নিচ্ছিলেন বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে সফুরা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সোমবার রাতেই মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।