নিজস্ব প্রতিবেদক
হেডের ১৪২, মার্শের ১০০ ও গ্রিনের ১১৮ রানে ভর করে ৪৩১ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ আগেই জিতে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এখন শুধু সম্মান রক্ষার লড়াই।
ম্যাকায় এর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এরিনায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। টস জেতার পর উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মার্শ নিজেই। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা শুরু থেকেই খেই হারিয়ে ফেলে। মাত্র ৩৪ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ ছুঁয়ে ফেলে ২৫০ রান।
মাত্র ৮০ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ট্রাভিস হেড। দলীয় ২৫০ রানে কেশব মহারাজের বলে ব্রেভিসের হাতে ধরা পড়ার আগে খেলেন ১০৩ বলে ১৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস, যেখানে ছিল ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কা।
হেডের আউটের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মার্শও। তবে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। মুথুস্বামীর বলে রিকেলটনের হাতে ধরা পড়ার আগে ১০৬ বলে ১০০ রান করেন অজি অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকেও আসে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও আফ্রিকান বোলারদের রেহাই মেলেনি। তিনে নামা ক্যামেরন গ্রিন ও চারে নামা অ্যালেক্স ক্যারি মিলে মাত্র ১৩.৩ ওভারে ১৬৭ রানের অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচের ভাগ্য একরকম সেখানেই নির্ধারণ করে দেন।
ইতিহাস গড়ে মাত্র ৪৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রিন, যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ১১৮ রানে, ইনিংসে আসে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা। অপরপ্রান্তে ক্যারিও অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৫০ রানে, যেখানে ছিল ৭টি চার।
অবশেষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া থামে ৪৩১ রানে, ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়ায় রেকর্ড গড়া ৪৩২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একমাত্র সাফল্য আসে কেশব মহারাজ ও মুথুস্বামীর হাত ধরে। মহারাজ ১০ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, আর মুথুস্বামী শিকার করেন ৯ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে ১ উইকেট। অন্যদিকে কোয়েনা মাফাকা, উইয়ান মুল্ডার, আইডেন মার্করাম ও বসক ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ ও খরুচে। মুল্ডার একাই দেন ৭ ওভারে ৯৩ রান।
যদিও আজকের ম্যাচ হারে সিরিজে কোনো প্রভাব পড়বে না। কেননা এক ম্যাচ হাতে থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।