বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে কাটানো সময় তাঁকে বুঝিয়েছে— মৌলিক জনসেবা নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যা এখনো বাংলাদেশে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর জাতীয় কাউন্সিল-২০২৫-এ যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমাকে বহু বছর বিদেশে কাটাতে হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা হলো, এখানে (যুক্তরাজ্যে) যেহেতু জবাবদিহিতা রয়েছে, তাই রোগী সরকারি হাসপাতালে গেলে ন্যূনতম সেবা পায়।”
তিনি আরও বলেন, এই ন্যূনতম সেবা সবার জন্য নিশ্চিত হওয়া উচিত— সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, যে কেউ সরকারি প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রাপ্য সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে।
বিদেশের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এমন যে, ডাক্তারদের ওপর হামলা বা রোগীদের সঠিক সেবা বঞ্চনার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়— সবই প্রতিষ্ঠিত জবাবদিহিতা ব্যবস্থার মাধ্যমে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “যদি আমরা ধীরে ধীরে স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সর্বত্র গড়ে তুলতে পারি, তবে আমরা সব স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।”
তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোতে গণতন্ত্র নেই— এই ধারণাকেও চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ড্যাবের এই কাউন্সিলই প্রমাণ করে যে বিএনপি-সম্পৃক্ত সংগঠনগুলোতেও গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে।
“বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে,” তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করেছে যে, স্থানীয় থেকে জাতীয়— সব স্তরে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশও জনসেবার মান উন্নত করতে এবং নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।