জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি পলিটিক্যাল থিংকারসের

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

গণহত্যা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস ও দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিংকারস’ (বিপিটি)। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে এ দাবি করে সংগঠনটি।

বিপিটি’র কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার মো. নুর নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীর সাবেক জেলা প্রশাসক, প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান, উপাধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান, ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম মোর্তজা, সহকারী অধ্যাপক ও বিপিটি সদস্য রায়হান চৌধুরী এবং ডিবেট ফর বাংলাদেশ-এর সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মিশন।

এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়েই জনগণের মুক্তি আসবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমানভাবে সহযোগিতা করেছিল জাতীয় পার্টি। রাতে ভোট ডাকাতি থেকে শুরু করে বিদেশে টাকা পাচারে আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল এই জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ মিলেমিশে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার সমর্থন জুগিয়েছিল এই জাতীয় পার্টি। সুতরাং তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

উপাধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে যারা এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এই সন্ত্রাসীরা জুলাই অভ্যুত্থানে মাসুম শিশুদেরকেও রেহায় দেয়নি। তাদেরকে হেলিকপ্টারে থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। এদেশের মাটিতে এদের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এই গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশিত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ার মো. নুর নবী অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সংবিধান, আইন, বিচারালয়, প্রশাসন ও নির্বাচন কাঠামো ধ্বংস করেছেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা, ২০১৪ সালে সাঈদীর রায়-পরবর্তী সহিংসতা এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের হত্যাকাণ্ডসহ প্রতিটি ঘটনা আসলে গণহত্যা। এর জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা এবং তাদের দোসর জাতীয় পার্টিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হতে সহায়তা করেছে জাতীয় পার্টি। ভারতের ইশারায় শেখ হাসিনাকে সাংবিধানিক বৈধতা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছিল এই দল। তাই গণহত্যা, রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস ও রাষ্ট্রের কোষাগার চুরির দায়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবি।

কর্মসূচিতে বিপিটি’র মিডিয়া সেলের সদস্য জাফর আহমেদ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সামসু উদ্দিন রাব্বী, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সোহাগ, ইঞ্জিনিয়ার আহসান উল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার শাহ জাহান এবং দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *