গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীতে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। প্রায় দুই মাস ধরে প্রকাশ্যেই এসব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী ভাঙনের শঙ্কা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ১০টি নৌকা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ট্রিপে বালু উত্তোলন করা হয়। প্রতিটি ট্রিপে বহন করা হয় ৬শ থেকে এক হাজার ফুট বালু। যা বিক্রি হচ্ছে ফুটপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এতে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এ বালুকে কেন্দ্র করে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি নৌকা লোডের জন্য দিতে হয় চাঁদা। নৌকা প্রতি ৭শ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে। এতে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা যাচ্ছে তাদের পকেটে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাঝি জানান মাঝে মধ্যে অভিযানে নৌকা জব্দ হলেই খরচ হয় ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাক।
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, খাষপুখুরিয়ায় এভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আশপাশের গ্রাম, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ করা উচিত।
এদিকে বালু উত্তোলন করা কয়েকজন মাঝি অভিযোগ করেন, এলাকার ঠান্ডু মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা, রজব আলীর ছেলে মোতালেব মিয়া এবং হোসেন আলীর ছেলে ইমদাদুল হক নৌকা ভেদে ৭শ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত ‘চর খরচা’ নেন। তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দুজন অভিযোগ অস্বীকার করেন। আর ইমদাদুল হক জানান, আমার বংশের কেউ টাকা নিতে পারে, তবে কত টাকা নেয় তা আমার জানা নাই।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই অবৈধভবে বালু উত্তোলন দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তারা অবিলম্বে খাষপুখুরিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও নদী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যারা বালু উত্তোলন করছে এটা অন্যায় এবং যারা চাঁদা নিচ্ছে এটাতো আরো অন্যায়। আমি ২-৩ বার গিয়েছি, দিনের বেলায় ওদের পাইনা। আমি বের হলেই কিভাবে যেনো তারা জেনে যায়। এখন ওদের ধরতে অফিস অন্য যায়গায় নিতে হবে, তাহলে যদি ওদের সাথে পারি।