গণমঞ্চ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র চাপ আর শুল্ক আরোপের মুখে চিরবৈরী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সফরে সোমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন তিনি। সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওয়াং ই। তিন দিনের এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসেই চীন সফরে যেতে পারেন। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী দুই দিনে দিল্লিতে ভারত-চীনের বিশেষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বের দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত ও চীন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামতের পথে এগোচ্ছে বেইজিং ও নয়াদিল্লি।
ওয়াং ইর এই সফরে উভয় দেশের মাঝে হিমালয় সীমান্ত দিয়ে ফের বাণিজ্য চালুর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে নয়, প্রতীকী দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং ই চীন-ভারত সীমান্তবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সীমান্ত-সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, আসন্ন আলোচনায় বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা কমানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হতে পারে। এটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।