গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –
প্রায় চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাবে। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ জন। টানা বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে সুতলেজ, বিয়াস ও রাভি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ ও প্রশাসনের সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ২০টি বিশেষ দল দুর্গত এলাকায় কাজ করছে।
পাঞ্জাব সরকারের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদী এবং খালগুলোর পানি বেড়েছে। রাভি নদীর তীব্র স্রোতে পাঠানকোট জেলায় ছয়জন মারা গেছেন, হোশিয়ারপুর, অমৃতসর, লুধিয়ানা, মানসা, রূপনগর এবং বার্নালা জেলায় মারা গেছেন তিনজন করে।
২৩ জেলার মধ্যে ১২টি জেলার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। সবচেয়ে বিপর্যস্ত জেলা পাঠানকোট—এখানেই ছয়জন মারা গেছেন এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। অমৃতসর, বরনালা, লুধিয়ানা ও হোশিয়ারপুরসহ একাধিক জেলায় আরো প্রাণহানি ঘটেছে।
বন্যার কবলে এক হাজার ৪৪টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। প্রশাসনের হিসাবে, শুধু অমৃতসরেই প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফেরোজপুরে প্রায় ২৪ হাজার, ফাজিলকায় ২১ হাজারের বেশি, পাঠানকোটে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভয়াবহ বন্যার ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। রাজ্য জুড়ে দুই দশমিক ৩২ লাখ একর জমি ডুবে গেছে।