ক্যালিফোর্নিয়ার শহরে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করেছে কানাডিয়ান হাঁস

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার ফোস্টার সিটি (ক্যালিফোর্নিয়া) বর্তমানে ট্রাফিক কিংবা বাড়ির মূল্য নয়, সবচেয়ে বড় ঝামেলা তৈরি করেছে কানাডিয়ান হাঁস। এই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনকে খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ ডলার।

শহরের বিভিন্ন লেগুন ও পার্কজুড়ে শত শত কানাডিয়ান হাঁস অবস্থান করছে। তাদের মলের কারণে পানিতে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং শিশুদের আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে, জানিয়েছেন সিটি কর্মকর্তারা।

শহরের পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন পরিচালক ডেরেক শোয়েইগার্ট বলেন,
“যদি এমন কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে মানুষ ও হাঁস একসঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই থাকতে পারে, সেটিই হবে বড় সাফল্য। কিন্তু বর্তমানে হাঁসের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।”

সেপ্টেম্বর থেকে নতুন পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়েছে। এর আওতায় রয়েছে বাজপাখির মতো দেখতে ড্রোন, হাঁস তাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত বর্ডার কলি কুকুর, এবং পানিতে স্থাপিত রিমোট কন্ট্রোলড ডিভাইস—যা হাঁসকে অস্বস্তিকর পরিবেশে ফেলবে।

প্রায় ৩৩ হাজার জনসংখ্যার ফোস্টার সিটি বহু বছর ধরে হাঁস সমস্যায় ভুগছে। কখনো কখনো সাতটি প্রধান পার্কে একসঙ্গে প্রায় ৪০০ হাঁস জড়ো হয়, যার বছরে কয়েক হাজার ডলার ব্যয় করতে হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে।

এর আগে ডিমে তেল লাগিয়ে তা নষ্ট করার প্রচেষ্টা, নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে দেওয়া এবং এমনকি ২০২১ সালে ১০০-র বেশি হাঁস মেরে ফেলার মতো বিতর্কিত পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। তবে তীব্র জনরোষের মুখে সেই উদ্যোগ বন্ধ করতে হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল সমস্যার একটি কারণ হলো—এখন আর কানাডিয়ান হাঁস আগের মতো নিয়মিতভাবে অভিবাসন করে না। ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট মেলানি উইভার বলেন,
“আমরাই তাদের জন্য উপযুক্ত আবাস গড়ে তুলেছি, যেখানে তারা সহজে বংশবিস্তার করতে পারে। এটি আসলে এক ধরনের বিপদের সূত্র।”

এইবার ফোস্টার সিটি ‘ওয়াইল্ডলাইফ ইনোভেশন্স ইনক.’-কে পুরো কাজের দায়িত্ব দিয়েছে। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জেক ম্যানলি জানান,
“একসঙ্গে সব কৌশল প্রয়োগ করা হবে না। হাঁসগুলো যখন কোনো কৌশলে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে, তখন নতুন কিছু ব্যবহার করতে হবে যাতে তারা বিভ্রান্ত হয় এবং সরে যায়।”

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *