এনসিপি নেতাকে মারধর, রুমিন ফারহানা বলেন— আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, আমার লোক তো বসে থাকবে না

নির্বাচন কমিশনে এনসিপির কর্মীদের সাথে রুমিন ফারহানার সমর্থকদের হাতাহাতি। ছবি- সংগৃহীত।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহকে মারধর করার অভিযোগে উঠেছে এবং বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আজ ২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য-সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা নিজে উপস্থিত থেকে দলের লোকজনকে দিয়ে এনসিপি নেতাকে মারধর করেন।  

যদিও এ বিষয়ে পরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেনে রুমিন ফারহানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‌‌উনি যেহেতু কোনো পরিচিত মুখ নয়। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন, নাকি জামায়াত থেকে এসেছেন; আমি জানি না। তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন, সো, আমার লোক তো বসে থাকবে না। তার ধাক্কার প্রতিবাদে আমার লোকজন ধাক্কা দিয়েছে। আমি তো একজন মহিলা। পরে আবার তেড়ে এসেছে। সো, আমার লোকজন জবাব দিয়েছেন। সিম্পল।

রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে কাজ করতে সাহস পায়নি। আজ এনসিপি সেটা করে দেখিয়েছে। এ সময় তিনি বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিচার চান।

এনসিপি নেতারা গুন্ডা নিয়ে এসেছেন অভিযোগ করে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘আমি কোনো গুন্ডা নিয়ে আসিনি। তারা গুণ্ডা নিয়ে এসেছে। অলমোস্ট আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সুতরাং, ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই। এটাই হয়েছে।’

দলটির সিনিয়ন নেতা প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রুমিন ফারহানার লোকজন আমাদের আক্রমণ করেছেন। আমরা যারা এনসিপি করি তাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের অপরাধ হলো- আমরা দাবি নিয়ে ইসিতে এসেছি। এই কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে আমাদের পেটানো হয়েছে।’

এর আগে দুপুর ১২টায় সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে এই শুনানি শুরু হয়। এমন সময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অনুসারী এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি ও উচ্চবাক্য বিনিময় শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসন নিয়ে শুনানি চলাকালে এনসিপি ও রুমিন ফারহানার অনুসারীদের মধ্যে এই হাতাহাতি হয়। এ সময় এনসিপির তিন জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তারা হলেন- এনসিপি নেতা প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী, মুস্তফা সুমন ও আতাউল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *