মিয়া সুলেমান, ময়মনসিংহ থেকে
ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়নভিত্তিক বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের তৎপরতা জোরদার হয়েছে। এরই মধ্যে আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদের জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোচনায় শীর্ষে উঠে এসেছেন বর্তমান ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হাদিছ মিয়া।
দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকা হাদিছ মিয়া তৃণমূলের কাছে জনবান্ধব মনোভাব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দলীয় দুঃসময়ে অবিচল থাকার কারণে একজন প্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত।
১৯৯৭ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে কলেজ ছাত্রদলের সদস্য, পরে আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও দু’বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন। ধারাবাহিক এই নেতৃত্ব তাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের আস্থাভাজন করে তোলে।
বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিষ্ঠা, অভিজ্ঞতা ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে তিনি আজ সংগঠনের একজন বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য নেতা।
দলের সংকটময় সময়ে রাজপথে সাহসী ভূমিকার জন্য একাধিকবার গ্রেফতার ও রাজনৈতিক মামলার সম্মুখীন হয়েছেন হাদিছ মিয়া। এ কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তিনি কেবল নেতা নন, সংগ্রামী রাজনীতির প্রতীক।
জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির ওপর জোর দিয়ে হাদিছ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই নেতৃত্ব গঠিত হওয়া উচিত, দলীয় স্বার্থে নয়। প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও তৃণমূল নেতাকর্মীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক কমিটি গঠনই আমার লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতি হবে মানুষের সমস্যা সমাধানে নিবেদিত। নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে আমরা একটি আধুনিক, উদ্যমী এবং ঐক্যবদ্ধ দল গড়ে তুলবো। বিভেদ নয়, ঐক্যের ভিত্তিতেই দলকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা।”
আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুরুজ বাঙ্গালি বলেন, “হাদিছ মিয়া শুধু একজন রাজনীতিক নন, বরং দূরদর্শী নেতৃত্ব। তিনি জনমানুষের চাহিদা ও স্বপ্ন পূরণে সদা সচেষ্ট। স্বচ্ছতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে তিনি রাজনীতিকে করেছেন জনগণের সেবার প্রকৃত মাধ্যম।”
তৃণমূল নেতাকর্মীরাও মনে করছেন, আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হাদিছ মিয়ার বিকল্প নেই।
