মিয়া সুলেমান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি,
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর কয়েকটি ধারা ও উপধারা বাতিল করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজ মনে করছেন, এই ধারাগুলো বাতিলের ফলে সিটি কর্পোরেশনের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থ রক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাতিল হওয়া ধারায় যা ছিলো-
১. ধারা ২ এর উপ-ধারা (৪৮ক ও ৫৫ক) বাতিল
এই ধারাগুলো সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপে সহায়ক ছিল। বাতিলের ফলে স্থানীয় সরকারের অর্থ ব্যয়, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কর্মচারীদের নিয়োগে স্বচ্ছতা কমে যেতে পারে।
২. ধারা ৩২ক বাতিল
পূর্বে ধারা ৩২ক-এর মাধ্যমে দুর্নীতি বা অনিয়ম প্রতিরোধে কিছু কার্যকর নির্দেশনা ছিল। ধারা বাতিল হওয়ায় জবাবদিহিতার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সেবা প্রদানে জনগণের আস্থা নষ্ট করবে।
৩. ধারা ৩৫ এর উপধারা (১)-এর দফা (ঘ) বাতিল
এ উপধারা ছিল সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনা ও প্রকল্প অনুমোদনে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এখন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের প্রভাব বাড়বে, যা রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য-
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতিল হওয়া ধারাগুলো কার্যকর থাকলে সিটি কর্পোরেশনগুলো আরও বেশি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হতো। এগুলো বাদ দেওয়ার ফলে নাগরিক সেবা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ কেউ কেউ মন্তব্য করেন, “যে ধারাগুলো বাতিল হলো, সেগুলো মূলত জনগণের অধিকার রক্ষা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল। এগুলো তুলে দিলে জনগণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম দুর্বল হবে।”