আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করা ছিল: গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোট। তাদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অমর একুশে হলে আগে থেকে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছে। এছাড়া শামসুন্নাহার হলেও কয়েকজন শিক্ষক একটি প্যানেলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ নির্বাচনকে নীলনকশার নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী জোট।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে টিএসসি চত্বরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন।

এ সময় প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে চরম বিশৃঙ্খলা। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এটি এক ধরনের তামাশায় রূপ নিয়েছে। ছাত্রদলের আবিদ কেন্দ্রে ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। আদু ভাইয়েরা এমফিলে ভর্তি হয়েছে কারচুপির জন্য। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী বাকের মজুমদার বলেন, ‘একুশে হলে আগে থেকে ব্যালট বক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগ প্রশাসন স্বীকার করলেও ব্যবস্থা নেয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন তিনি ব্যক্তি চিহ্নিত করতে পারেননি। আমরা মনে করি এটি চরম মিথ্যাচার। আমাদের মনে হচ্ছে এক ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে।’

নতুন করে কেউ হাসিনা হওয়ার চেষ্টা করলে জুলাইয়ের মতো গণঅভ্যুত্থান হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে।

এবারের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বিকাল ৪টার মধ্যে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৪৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আছেন ১৯ জন প্রার্থী। মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ৯৫৯ জন আর ১৮টি হল সংসদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি করে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪।

সব মিলিয়ে এবার একজন ভোটারকে ৪১টি করে ভোট দিতে হবে। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ওএমআর ফরমে, ছয় পাতার ব্যালটে। এরপর ১৪টি গণনা মেশিনে ৮টি কেন্দ্রে হবে ফলাফল গণনা। ফলাফল ঘোষণা করা হবে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে। ভোটগণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *