আগামী জাতীয় নির্বাচনে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের যেকোনো ফল বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে ইসির হাতে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে। ‘না ভোট’ ব্যবস্থার ফলে একজন প্রার্থী থাকলেও বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, সমান ভোট হলে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে না, বরং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট এমপির পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ চালু হয়। সে সময় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-এর আওতায় ব্যালট পেপারের সর্বশেষ স্থানে লেখা থাকত ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং চিহ্ন হিসেবে ‘ক্রস’ (ঢ) ব্যবহার করা হতো। ওই নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ভোট ছিল ‘না ভোট’।
ChatGPT said:
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের যেকোনো ফল বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে ইসির হাতে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে। ‘না ভোট’ ব্যবস্থার ফলে একজন প্রার্থী থাকলেও বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, সমান ভোট হলে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে না, বরং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে প্রতিটি দলকে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট এমপির পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ চালু হয়। সে সময় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-এর আওতায় ব্যালট পেপারের সর্বশেষ স্থানে লেখা থাকত ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং চিহ্ন হিসেবে ‘ক্রস’ (ঢ) ব্যবহার করা হতো। ওই নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ভোট ছিল ‘না ভোট’।