আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার, জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতা-কর্মীকে হত্যার মামলায়

গণমঞ্চ নিউজ ডেস্ক –

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গুলি করে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মীকে হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাল বেপারিবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম ওরফে মানিক (৫৩)। তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌয়জুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নজরুল ইসলাম জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামি। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা গেটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী গুলিতে নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিহত জামায়াতকর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলা করেন।

হত্যা মামলাটিতে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উই ক্যা সিং মারমাও রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *